দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ আপনার প্রতিদিনের জীবন ধারণের পদ্ধতি ও খাদ্য গ্রহণ আপনার দেহে এবং চেহরায় বয়সের প্রভাব ফেলে। তাই আপনি যদি আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে চান তবে নিয়ম করে কিছু খাবার খেলেই আপনার তারুণ্য বজায় থাকবে। আমরা আপনাকে আজকে আপনার তারুণ্য ধরে রাখবে এমন ১০টি খাবারের বিষয়ে জানাব। জানতে বিস্তারিত পড়ুন…
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আপনাকে সুস্থ রাখবে। বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও শস্য জাতীয় খাবার আপনার পেশির সঠিক গঠনে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আপরদিকে কোলেস্টেরল মুক্ত ফল ও সবজি আপনার বয়সের বলিরেখা দূর করবে। আপনাকে করবে তরুন ও সজীব। তাই তারুণ্য ধরে রাখতে খাদ্যাভ্যাসে যে সব খাবার অন্তর্ভুক্ত করা দরকার তা জানা থাকা দরকার।
১। খাদ্য শস্যঃ আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা সাদা রুটি (চালের গুরি) অথবা অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাদ্য খান তাদের থেকে যারা আটা রুটি খান তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা কম এবং তাদের কোমর অনুপাতিক হারে প্রায় ৩ গুন কম বেড়েছে। অতএব আপনি যদি অতিরিক্ত মুটিয়ে যেতে না চান তবে চালের বা অন্যান্য সাদা রুটি না খেয়ে আটার রুটি এবং খাদ্য শস্যদানা থেকে তৈরি খাবার খান।
২। বেশী বেশী মাছ খানঃ মাছ আপনার শরীর জন্য প্রোটিনের একটি বড় উৎস। মাছ মানব শরীরে হরমোন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেক এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। অতএব আপনি আপনার খাবারের তালিকায় মাছ রাখতে পারেন। তবে বেশী তৈলাক্ত মাছ যেমন পাঙ্গাস মাছ পরিহার করুন। এসব তৈলাক্ত মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা মুখে বলিরেখা এবং দাগ তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
৩। ব্যাকটেরিয়া জাতীয় খাবার খাবেন নাঃ আপনার বয়স যত বাড়বে আপনার পেটের অভ্যন্তরে হজম ক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। সাধারণত ৩৫ বছরের পর থেকে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এতে হজমে মন্থরগতি ও পেট স্ফীত হয়ে যায়। দুধজাত বা প্রোবায়োটিক খাবার গ্রহণে এ অবস্থা হয়। তাই এসব পরিহার করুন।
৪। ময়েশ্চারাইজার যুক্ত খাবার খানঃ আপনার বয়স যত বাড়বে আপনার ত্বক তত শুষ্ক ও মলিন হতে থাকবে। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে প্রধান ভূমিকা রাখে ময়েশ্চারাইজার। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার গ্রন্থি সমূহ ছোট হয়ে যায়। তাই ময়েশ্চারাইজার যুক্ত খাবার বেশী খেতে হবে। ময়েশ্চারাইজার আছে এমন খাবার হচ্ছে, নাশপাতি, বাদাম জাতীয় খাদ্য এছাড়া আপনি ত্বকে নিয়মিত জলপাই তৈল যা বাজারে অলিভ অয়েল নামে পাওয়া যায় তা মাখতে পারেন।
৫। বিস্কুট খাবেন নাঃ সব ধরণের বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। ৩০ বছর বয়সের পর মানুষের শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কম লাগে এসময় অতিরিক্ত ক্যালোরি জাতীয় খাবার আপনাকে মুটিয়ে তুলতে পারে এবং আপনার লাবণ্য অনেক আংশে কমিয়ে দিতে পারে। সুতরাং যতটা পারবেন বিস্কিট খাওয়া এড়িয়ে যান।
৬। নাস্তা জাতীয় হালকা খাবার পরিহারঃ সারাদিন আমরা মূল খাবারের পাশা পাশি নানা রকম হালকা নাস্তা করে থাকি যা একটু একটু করে আমাদের শরীরে প্রচুর ক্যালোরি প্রবেশ করার এতে আমাদের শরীর অপ্রত্যাশিত ভাবে মুটিয়ে যায়। তাই খাবারের পর অথবা অন্য সময় হালকা নাস্তা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। তবে হালকা খাবারের পরিবর্তে আপনি ফল মূল খেতে পারেন। হালকা খাবার যেমন, আইসক্রিম, চিপস, চকলেট খাওয়া কমাতে হবে।
৭। এলকোহল পরিহার করুনঃ মদ বা এলকোহল আপনার ত্বককে বুড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। মাত্রাতিরিক্ত যেকোনো কিছুই আপনার জন্য ক্ষতিকর, তবে পরিমাণ মত শরীরের সহনীয় মাত্রায় সাপ্তাহে ছুটির দিন আপনি প্রয়োজনে এক গ্লাস রেড ওয়াইন পান করতে পারেন।
৮। নিয়মিত খাবার খানঃ আমাদের শরীরে প্রতি তিন ঘন্টা পর পর খাবার গ্রহন জরুরী। অনেকেই ভাবেন কম খেলে স্বাস্থ্য কম বাড়বে। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। এতে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাতটি দেখা দেয়। আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। এতে অনেক সময় আপনার শরীরের ভেতরের বিভিন্ন শিরা-উপশিরা কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সুতরাং সময় মত পরিমিত খাবার গ্রহন জরুরী।
৯। ফল ও সবজি জাতীয় খাবারঃ ফল ও সবজি জাতীয় খাদ্যে তারুণ্যকে ধরে রাখে সাহায্য করে এমন কেমিক্যাল থাকে। তাই আপনার খাবার তালিকায় অবশ্যই তাজা ফল ও সবজি থাকা প্রয়োজন।
১০। লবন খাবার পরিহার করুনঃ অনেকেই আছেন অতিরিক্ত লবন খান, অনেকে ভাতের সাথে এক্সট্রা লবন গ্রহন করেন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশী লবন খাওয়া মানব শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত লবন গ্রহন আপনার ত্বকের জন্য এবং হার্টের জন্য ক্ষতিকর।
সূত্রঃ দি টাইমস অফ ইন্ডিয়া।