দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি আয়ের নির্দিষ্ট সীমারেখা পার হলেই আয়কর দিতে হয়। ব্যক্তি পর্যায় থেকে প্রতিষ্ঠান পর্যায় পর্যন্ত কঠোর নিয়ম রয়েছে আয়করের। তবে বিশ্বের ১৩টি দেশে আয়করই দিতে হয় না!
অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্বভাবে আয়কর আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আয়কর ফাঁকি দিলে মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে শাস্তি ভোগের জন্য কারাগারেও যেতে হয় অনেককেই। তবে বিশ্বে এমন ১৩টি দেশ রয়েছে, যেখানে কোন রকম আয়করই দিতে হয় না। এর ভেতর মধ্যপ্রাচ্যের ৭টি দেশও রয়েছে।
শুধু আমাদের দেশই নয়, বিশ্বের অনেক বড় বড় রাষ্ট্রেও আয়করের কঠোর বিধি-বিধান বিদ্যমান। মাঝে মাঝে পত্রপত্রিকায় দেখতে পাওয়া যায় যে, ফুটবল তারকা মেসি, রোনালদো, নেইমার আয় গোপন করায় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। এমনকি অর্থনীতির সমৃদ্ধশালী দেশ আমেরিকা, চীন, রাশিয়া ও ইংল্যান্ডের নাগরিকদেরও ইনকাম ট্যাক্স অর্থাৎ আয়কর দিতে হয়। আয়কর না দিলে এসব দেশে রয়েছে কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা।
বেশ কিছুদিন পূর্বেই পানামা পেপার বের করেছিল একটি তালিকা, যেখানে আয়কর ফাঁকি দেওয়ায় প্রকাশ্যে এসেছিল নানা মহলের বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামও। তবে ১৫০টি দেশের কেপিএমজি থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে নিম্নলিখিত ১৩টি দেশে কোনো আয়কর দিতে হয় না। দেশগুলো হলো- এ্যাঙ্গুইলা, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, বাহামা, বাহরাইন, বারমুডা, ব্রুনাই দারুসসালাম, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, কুয়েত, কাতার, ওমান, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তবে এমন বেশ কিছু দেশ রয়েছে যেখানে আয়করের পরিমাণ অনেকটা বেশি। কেপিএমজি থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, উচ্চ হারের আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার প্রথমেই রয়েছে সুইডেন, যেখানে প্রায় ৫৭.২ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। তারপর রয়েছে ডেনমার্ক, এই দেশে ৫৫.৯ শতাংশ আয়কর দিতে হয়।
এছাড়াও অস্ট্রিয়ায় ৫৫ শতাংশ আয়কর দিতে হয়, ফিনল্যান্ডে ৫৩.৬০ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ৫১.৬০ শতাংশ, আরুবায় ৫২ শতাংশ ও ইসরায়েল এবং স্লোভেনিয়া, অপরদিকে বেলজিয়ামের নাগরিকদেরকে ৫০ শতাংশ করে আয়কর দিতে হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।