দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীর সুস্থ রাখতে হলে ব্যায়াম করাটা জরুরি। যাদের শারীরিক অবস্থা একেবারেই খারাপ অর্থাৎ যারা অসুস্থ তারা ব্যতিত সুস্থ সকল মানুষের জন্যই ব্যায়াম একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়।তবে প্রশ্ন হলো প্রতিদিন কতোটা সময় ব্যায়াম করবেন?
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা অনেক কিছুই করি। শরীরকে সুস্থ এবং মনকে নির্মল রাখার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করার গুরুত্ব সত্যিই অপরিসীম। তেমনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শরীর চর্চা করলে অনেক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। তবে কি পরিমাণ সময় ব্যায়াম একজন মানুষের জন্য প্রয়োজন সেটি আগে জানতে হবে।
শরীরচর্চা কেবল শরীরকে নির্দিষ্ট শেপেই রাখে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় এবং সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদকেও দূরে রাখে। একটা বিষয়টি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শরীর চর্চা স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গবেষকরা বলেছেন, ব্যায়াম করলে শরীরের পাশাপাশি মনও খুব ভালো থাকে। আপনি যখন ব্যায়াম করার জন্য নিজের শরীর নড়াচড়া করেন তখন সেরোটোনিনের মতো হরমনগুলো শরীর হতে নিঃসৃত হয় যা মন মেজাজ আরও ভালো রাখে। ব্যায়াম করলে মেটাবলিজম বাড়ে সেই সঙ্গে হৃদযন্ত্রও ভালো রাখে। এতে করে আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, আবার শরীরে রোগ বালাই এর ঝুঁকিও কমে যায়। বিশেষত: যারা হাড় পেশী শক্তিশালী করতে চান তাদের জন্য ব্যায়াম করার কোনো বিকল্প নেই।
প্রতিদিন কি পরিমাণ ব্যায়াম করবেন সেটি জেনে নেওয়া যাক:
একেকজনের শরীরের গঠন একেক রকম। সেই হিসেবে শরীরচর্চাতেও রয়েছে ভিন্নতা। আপনি যদি এমন কেও হন ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত না হন সেক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে। গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতি সপ্তাহে ১৫০ হতে ৩০০ মিনিট মাঝারি মানের ব্যায়াম কিংবা ৭৫ হতে ১৫০ মিনিট উচ্চ গতিতে ব্যায়াম করা দরকার। পেশী শক্তিশালী করণের জন্য সপ্তাহে মাত্র দুদিন ব্যায়াম করাও অনেক কষ্টকর ব্যাপার।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম:
হয়তো আপনি মনে করতে পারেন যে, মাত্র কয়েক ঘন্টা জিমে ঘাম ঝরালেই তা আপনার জন্য উপকারী। তা কিন্তু নয়। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির হিসেবে ব্যায়ামের ধরণে পার্থক্য হবে। উদাহরণস্বরূপ অ্যাথলেটদের প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা জিমে ব্যয় করতে হয় কারণ হলো এটি তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। তবে আপনার আমার এতো সময়ই হয়তো নেই। যারা খাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাখ্যাটি একেবারে ভিন্ন হতে পারে।
তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন- হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে, ক্ষুধা কমে যেতে পারে, পায়ে অস্থিরতা আসতে পারে, ডিহাইড্রেশন হতে পারে, ঘুম কম হওয়া কিংবা ইনমসনিয়ায় ভোগার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে, হাড় দূর্বল হয়ে যাওয়া এবং তীব্র ক্লান্তিও বোধ করতে পারেন।
যদিও অনেক ক্ষেত্রে আবার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে গিয়ে বেশি খাওয়া হয়ে যায়, এমনকি অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও দেখা দিতে পারে। তাই বুঝে শুনে তবেই ব্যায়াম করুন। কারণ একটি কথা মনে রাখবেন, আর তা হলো অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।