দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহিকে নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই চলছে নানা জল্পনা। কয়েকবার বাংলাদেশে এসে প্রোগ্রাম করার কথা থাকলেও অনুমতি পাননি এই অভিনেত্রী। এবার ভ্যাটের ফাঁদে পড়লেন নোরা ফাতেহি।

বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহিসহ অন্য বিদেশী শিল্পীদের নিয়ে বাংলাদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল্য সংযোজন কর কিংবা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল (মঙ্গলবার) এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ আবদুস সাদেক সই করা একটি চিঠিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
এ সম্পর্কে এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, মূসক আইন অনুযায়ী বিদেশী শিল্পীর অংশগ্রহণে বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা এবং অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও আয়োজক প্রতিষ্ঠান এই সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা এবং ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিলসহ অনুমতি গ্রহণ করেননি। সে কারণেই ভ্যাট বিভাগ থেকে প্রযোজ্য ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে বিদেশী শিল্পীদের বাংলাদেশের যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তিপত্রে উল্লিখিত পারিশ্রমিক ছাড়াও অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রী এবং কলা-কুশলীর জন্য পরিশোধিত অন্যান্য খরচ যেমন- বিমান কিংবা অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য যাতায়াত খরচ, তাদের থাকা খাওয়ার খরচ ইত্যাদি সকল প্রকার খরচের ওপর পরিশোধিত ও পরিশোধযোগ্য মোট অর্থের ওপর আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ৫৬ ধারার বিধান মোতাবেক ৩০ শতাংশ হারে উেস আয়কর পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতার বিধানের কথা জানিয়ে আয়কর বিভাগ হতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ইতিপূর্বে গত ১৩ নভেম্বর আরেকটি চিঠিতে একই বিষয়ে উেস আয়কর পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতার বিধান পালন না করায় আপত্তি জানায় এনবিআরের আয়কর বিভাগ।
ঢাকা উত্তরের কাস্টমস, এক্সাইজ এবং ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ওমেন্স লিডারশিপ করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদেশী শিল্পী নোরা ফাতেহিসহ অন্য শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবে বলে ভ্যাট বিভাগকে অবহিত করা হয়। এই বিষয়ে মূসক আইন অনুযায়ী বিদেশী শিল্পীর অংশগ্রহণে বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-সম্পর্কিত ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাংক গ্যারান্টি জমা এবং অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।