দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে। দিন দিন যেনো বেড়েই চলেছে এর ব্যবহারকারী। প্রতিনিয়তই আপডেট হচ্ছে এই সাইট।
তবে যে কোনো সময় আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধও হতে পারে। হয়তো অবাক হচ্ছেন? তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছেন, সামান্য অসতর্ক হলেও বাতিল অর্থাৎ নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকা মানুষের সঙ্গে ভয়েস কল হোক কিংবা ভিডিও কলই হোক, নিমেষে যোগাযোগ করা সম্ভব এই অ্যাপটির মাধ্যমে। অফিস এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় এই হোয়াটসঅ্যাপ।
তবে আপনার জরুরি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যদি আচমকা বন্ধ হয়ে যায় কিংবা নিষিদ্ধ হয়, তাহলে সত্যিই খুব মুশকিলের বিষয়। তাই আগে থাকতে সতর্ক হোন। জেনে রাখুন কোন কোন কারণে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে:
# স্প্যাম হিসেবে কখনও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন না। এটা লাগাতার করলে সমস্যাও হতে পারে। স্প্যাম হলো গ্রুপ তৈরি করে এক নাগাড়ে মেসেজ পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া।
# যদি একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে একজন ব্যবহারকারী একাধিকবার ব্যান (বাতিল) হন, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ওই ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেটও করে দিতে পারে।
# বিভিন্ন গ্রুপে ভুয়া এবং মিথ্যা খবর ছড়ানো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এর জেরেও নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি।
# কোনো ধরনের বেআইনি কিংবা আপত্তিকর, হিংসাত্মক ও হুমকি বিষয়ক কোনো কনটেন্ট হোয়াটসঅ্যাপে কাওকে পাঠাবেন না। যে কারণে আপনার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে পারেন অন্য ইউজাররা। তার জেরে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান (বন্ধ) হয়ে যেতে পারে।
# অ্যানড্রয়েড ফোনে এপিকে ফাইলের রূপে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করবেন না। যে লিঙ্ক দেখে মনে সন্দেহ জাগবে সেই ধরনের কোনো লিঙ্কও হোয়াটসঅ্যাপে ফরওয়ার্ড না করাই ভালো।
# হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ যদি টের পান যে, আপনি অন্য কারও হয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন কিংবা অন্য কারও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন, তাহলে অবধারিত নিষিদ্ধ হবে আপনার অ্যাকাউন্ট।
# যদি অন্যরা আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্টও করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টও ব্যান (বন্ধ) করবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
# বিভিন্ন থার্ড পার্টি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ যেমন- হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টা, হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস, জিবি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলে চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।