দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে (১৪ অক্টোবর) হাজির হয়েছিলেন বহু খ্যাতিমান তারকা, যার মধ্যে নাম ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলাও। কিন্তু এই অভিনেত্রী খেলা দেখতে গিয়ে তার সোনার আইফোন খোয়ালেন!
এই অভিনেত্রী তার ম্যাচের টিকিটের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে তোলা ভিডিও শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
নীল পোশাকে দর্শকাসনে দেখা যায় তাকে। তবে সব ভালোই চলছিল। তবে বিপত্তি টের পাওয়া গেলো অনেক পরে। ১৫ অক্টোবর ঊর্বশী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন যে, ‘আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আমার ২৪ ক্যারেট সোনার আইফোনটি হারিয়েছি। যদি কেও খোঁজ পান, দয়া করে সাহায্য করুন। যতো শীঘ্রই সম্ভব আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
বিষয়টিতে কেও কেও দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষোভও ঝেরেছেন অনকেই। একজন লিখেছেন, ‘কালকেই তো পোস্ট করতে হতো। এতোক্ষণ পর মনে পড়লো ফোন হারানোর কথা!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আবার পাবলিসিটি স্টান্ট। এই মেয়েটাকে কেও একটা ভালো পিআর খুঁজে দাও। তাতে যদি অন্তত এইসব বোকা বোকা কথা বলা বন্ধ করে।’
ঋষভ পন্তের সঙ্গে উর্বশী রাওতেলার সম্পর্ককে ঘিরে গত বছর হতেই চলছে একাধিক বিতর্ক। সেই বিষয়টিও এলো মন্তব্য ঘরে। একজনের কমেন্ট, ‘ওতে ঋষভ পন্তের কোনও গোপন ছবি ম্যাসেজ নেই তো?’
উল্লেখ্য যে, উর্বশী রাওতেলা ‘সিং সাব দ্য গ্রেট’ ছবিতে সানি দেওলের সঙ্গে বলিউডে অভিষেক করেন। তিনি ‘সনম রে’, ‘গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি’, ‘হেট স্টোরি ৪’-এর মতো চলচ্চিত্রেরও অংশ ছিলেন। তারপর তাকে দেখা যাবে ‘স্কন্দ’, ‘দিল হ্যায় গ্রে’ ও ‘ব্ল্যাক রোজ’ সিনেমায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org