দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং ও ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা।

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য ও ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে ও ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ারও করতে দেয়।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে নতুন নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ। গত বছর ছবি থেকে স্টিকার তৈরির জন্য ‘কাস্টম স্টিকার মেকার’ নামে একটি টুল চালু করেছিলো হোয়াটসঅ্যাপ। এতোদিন টুলটি শুধু আইফোনে ব্যবহার করা গেলেও এবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোন থেকেও ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়। যে কারণে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের অন্য প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের সাহায্যে ছবির আদলে স্টিকার তৈরি করতে হবে না।
হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, স্মার্টফোনের গ্যালারিতে থাকা যে কোনো ছবির আদলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্টিকার তৈরি করতে পারে এই কাস্টম স্টিকার মেকার টুল। যে কারণে টুলটি কাজে লাগিয়ে চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে নিজেদের চেহারার আদলে স্টিকার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের পাঠানো বার্তার উত্তরে পছন্দের স্টিকারও ব্যবহার করা যাবে।
ছবি দিয়ে স্টিকার বানানোর সময় এডিটিং টুল ব্যবহার করে টেক্সট বসানো, ফোনে থাকা অন্য স্টিকার এবং ইমোজিও ব্যবহারকারীরা যুক্ত করতে পারবেন। স্টিকার তৈরির পর সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্টিকার ট্রেতে যুক্ত হয়ে যাবে। যে কারণে পরে যে কোনো সময় স্টিকারগুলো ব্যবহারও করা যাবে।
ছবি দিয়ে নিজেদের চেহারার আদলে স্টিকার তৈরির পাশাপাশি জিফির তৈরি স্টিকার ব্যবহারের সুযোগও হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যাবে। যে কারণে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সরাসরি জিফির তৈরি বিভিন্ন স্টিকার বার্তায় যুক্তও করা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপের স্টিকার আইকনে ট্যাপ করে জিআইএফ বাটনে ক্লিক করলে তখন জিফির তৈরি স্টিকারের তালিকাও দেখা যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org