দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রুনা খান। বহুমাত্রিক চরিত্রে কাজ করে ইতিমধ্যেই নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, ওজন কমিয়ে গ্ল্যামার লুকে হাজির হয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন সবাইকে। ছোটপর্দার পাশাপাশি কাজ করছেন বড় পর্দাতেও। এবার নতুন সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন রুনা খান।
জানা গেছে, ‘লীলা মন্থন’ নামে একটি চলচ্চিত্রে পর্দা মাতাবেন এই অভিনেত্রী। সিনেমাটি নির্মাণ করবেন জাহিদ হোসেন। সিনেমাটি সম্পর্কে রুনা খান বলেন, আমি কোনো কাজে যুক্ত হওয়ার পূর্বে চিন্তা করি সেখানে যেনো জীবন খুঁজে পাওয়া যায়। আসলে জীবনঘনিষ্ঠ গল্পে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করি। ‘লীলা মন্থন’ তেমন গল্পেরই একটি সিনেমা। এই সিনেমায় আমার চরিত্রটিও অত্যন্ত চমৎকার।
মূলত: শিশু বিক্রির ঘটনা নিয়ে নির্মিত হবে এই চলচ্চিত্র ‘লীলা মন্থন’। গল্প সম্পর্কে নির্মাতা জাহিদ বলেন, ‘কেনো শিশু বিক্রি হচ্ছে, বিক্রির পর তাদের জীবনে কী হচ্ছে, কারা এর ভুক্তভোগী, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতই বা কারা! এই বিষয়গুলোই সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শীঘ্রই শুরু হবে ‘লীলা মন্থন’র শুটিং। জয়দেবপুর, গাজীপুর এবং মানিকগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি স্থানে শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই দৃশ্যধারণের কাজ শেষ করতে চাই। আগামী বছর ঈদুল আজহায় সিনেমাটি মুক্তির দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
‘লীলা মন্থন’ সিনেমায় রুনা খান ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইমতিয়াজ বর্ষণ, অধরা খান, কানিজ সুবর্ণা, শামীমা নাজনীন, এলিনা শাম্মী, মনিরা মিঠুসহ অনেকেই। এ ছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে রুনা অভিনীত ‘বক’ এবং ‘দাফন’ নামে আরও দু’টি সিনেমা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org