দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্মিত হয়ে আরটিভির নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ইউনাইটেড স্টেট অব বরিশাল। মাইদুল রাকিব এবং সিফাত হোসেনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাইদুল রাকিব।
নাটকটির কাহিনী এমন- অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে পুরান ঢাকার স্থানীয় মানুষগুলো। কারণ হলো, পুরান ঢাকার এক এলাকায় বরিশাল অঞ্চলের মানুষজনে ভরে গেছে। সেখানে আগে ছিলো পুরান ঢাকার জুম্মন কসাই, বর্তমানে বরিশালের বেলাল কসাই। পূর্বে ছিল চান মিয়ার বিরিয়ানি, এখন রহিমের বিরিয়ানি। পূর্বে ছিল মাখনের বাখরখানি, এখন হয়েছে মজিদের বাখরখানি। সব মিলিয়ে পুরান ঢাকার মানুষ প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এই নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, পুরান ঢাকার একটি মোড়ের নাম বদলে ফেলা হয়। মূলত এই চত্বরকে কেন্দ্র করে ঝামেলা। বহু বছর পূর্বে এক বরিশালের মানুষকে থাকতে দিয়েছিলেন পুরান ঢাকার এক পরিবার। সে ছিল একজন বাবুর্চির সহকারী। তিনি বরিশাল হতে বিয়ে করে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে আসে। এখন তার নাতি-নাতনিরা সেই এলাকাতেই রাজত্ব করছে।
এদিকে দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচন, রাস্তা দখল, প্রেম নিয়ে ঝামেলা একের পর এক হতেই থাকে। বরিশালের পরিবারের এক লোক ঢাকাইয়া পরিবারের এক মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকেন। সেও প্রচণ্ড নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে। বরিশাল-ঢাকাইয়া গ্যাঞ্জামের মধ্যে সে দুই পক্ষকেই ম্যানেজ করতে হয়। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে নাটকটির গল্প।
এই ধারাবাহিক নাটকটিতে অভিনয় করেছেন, মারজুক রাসেল, সেমন্তি সৌমী, স্বর্ণলতা দেবনাথ, শরাফ আহমেদ জীবন, মুকিত জাকারিয়া, শিবা শানু, চাষী আলম, যাহের আলভী, মিহি আহসান, সাদ্দাম মাল, মুকিত জাকারিয়া, পাভেল, তানজীম অনিক প্রমুখ।
নতুন এই ধারাবাহিকটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) হতে প্রতি মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার আরটিভিতে প্রচারিত হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org