দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পিকক থিয়েটারে স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত হলো প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডসের ৭৭তম আসর।

এবারের আসরে ‘হ্যাকস’ সিরিজে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (কমেডি)-এর পুরষ্কার জিতলেন মার্কিন অভিনেত্রী হান্না আইনবাইন্ডার। পুরস্কার জেতার পর মঞ্চে উঠেই ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন ইহুদি বংশোদ্ভূত এই অভিনেত্রী। এই দৃশ্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরস্কার গ্রহণের সময় নির্ধারিত ৪৫ সেকেন্ডের সীমা অতিক্রম করেছিলেন আইনবাইন্ডার। মঞ্চে তিনি বক্তব্য দেওয়ার পর শেষ মুহূর্তেই স্লোগান দেন ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’। তার এই বক্তব্য এবং শেষ মুহূর্তের স্লোগান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
তার দীর্ঘ বক্তৃতার সঙ্গেও যুক্ত ছিল একটি শর্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালক নেট বারগাতসে ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ‘বয়েজ অ্যান্ড গার্লস ক্লাব অব আমেরিকা’কে এক লাখ ডলার অনুদান দেবেন, তবে প্রত্যেক সেকেন্ড অতিরিক্ত কথা বললেই অনুদান থেকে ১ হাজার ডলার করে কেটে নেওয়া হবে।
আইনবাইন্ডারের বক্তব্য সময়সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় অনুদান কমার কথা থাকলেও তিনি মঞ্চে প্রতিশ্রুতি দেন যে, বাকি অর্থ তিনি নিজে দেবেন যাতে সংস্থাটি পুরো অনুদানই পান।
মূলত মজার ছলে বক্তৃতাগুলো সংক্ষিপ্ত রাখার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হলে আইনবাইন্ডারের সিদ্ধান্ত দেখিয়ে দিয়েছে, এমি মঞ্চ এখনও রাজনৈতিক এবং সামাজিক বার্তা দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org