দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিশোর-কিশোরীদের নিরাপত্তায় নিজেদেরই তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ সুবিধা চালু করলো ওপেনএআই।

নতুন এই সুবিধা চালুর কারণে কিশোর-কিশোরীদের অনলাইন নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে ও অভিভাবকরা চাইলেই সন্তানদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক ঘোষণায় ওপেনএআই জানিয়েছে যে, চ্যাটজিপিটিতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সুবিধা চালুর কারণে অভিভাবকরা কিশোর-কিশোরীদের অ্যাকাউন্ট নিজেদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্তও করতে পারবেন। যে কারণে কিশোর-কিশোরীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অতিরিক্ত সুরক্ষা পাবেন। সেইসঙ্গে অভিভাবকরা সন্তানদের প্রয়োজন অনুযায়ী চ্যাটজিপিটির বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ নিয়ন্ত্রণ এবং সীমা নির্ধারণও করতে পারবেন।
অভিভাবকরা চাইলেই সরাসরি সন্তানকে আমন্ত্রণ পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে নিতে পারবেন। আবার সন্তানরাও চাইলেই অভিভাবককে অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। একবার এই সেটিং চালু হলে কেও ইচ্ছা করে বন্ধ না করা পর্যন্ত সেটি কার্যকর থাকবে। বর্তমানে প্রাথমিকভাবে চ্যাটজিপিটির ওয়েব সংস্করণে সুবিধাটি চালু হয়েছে। ওপেনএআই জানিয়েছে যে, খুব শীঘ্রই এই সুবিধা মোবাইল অ্যাপেও ব্যবহার করা যাবে।
ওপেনএআইয়ের ঘোষণা অনুযায়ী জানা যায়, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল–সুবিধা কাজে লাগিয়ে অভিভাবকরা চ্যাটজিপিটির একাধিক সুবিধাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যারমধ্যে রয়েছে সংবেদনশীল কনটেন্ট এবং মেমোরি নিয়ন্ত্রণসুবিধা। মডেল প্রশিক্ষণের জন্য কথোপকথন ব্যবহার করা হবে কি-না, তা নিয়ন্ত্রণসহ ভয়েস ফিচার চালু কিংবা বন্ধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। একইভাবে ইচ্ছে করলে ছবি তৈরি এবং সম্পাদনার সুবিধা সীমিত কিংবা বন্ধ করেও দিতে পারবেন অভিভাবকরা। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org