দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাঁটা অত্যন্ত উপকারী শারীরিক ব্যায়াম, যা শরীর এবং মনের জন্য সমান উপকারী। নিয়মিত হাঁটা হৃদযন্ত্র, হাড়, পেশি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

তবে অনেকেই হাঁটার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চলেন না- যেমন ভুলভাবে হাঁটা, অনিয়মিত সময় হাঁটা বা হাঁটার পরপরই বিশ্রাম না নেওয়া। এর ফলে উপকারের বদলে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ভুল ভঙ্গিতে হাঁটলে পেশি এবং হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই হাঁটার সময় শরীর বাঁকিয়ে বা ঝুঁকে হাঁটেন, যা কোমর ও মেরুদণ্ডে চাপ ফেলে। এতে ব্যথা, পেশির টান ও হাঁটুর ক্ষয় হতে পারে। সঠিকভাবে মাথা সোজা রেখে ও কাঁধ ঢিলে রেখে হাঁটাই নিরাপদ।
অনিয়মিতভাবে হাঁটা শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে। সপ্তাহে একদিন দীর্ঘ সময় হাঁটা কিন্তু বাকি দিনগুলো একদম না হাঁটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে রক্তসঞ্চালন এবং বিপাক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে ক্লান্তি এবং অবসাদ দেখা দেয়।
অনেকেই অতিরিক্ত গরম বা রোদে হাঁটতে বের হন, যা শরীরের পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে। ঘাম ঝরার ফলে শরীর থেকে লবণ এবং মিনারেল কমে যায়, এতে মাথা ঘোরা বা রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সকালে বা বিকেলে ঠাণ্ডা সময়ে হাঁটাই উত্তম।
হাঁটার পরপরই খাবার খাওয়া বা বসে পড়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে হজমের সমস্যা ও পেটের গ্যাস হতে পারে। হাঁটার অন্তত ২০–৩০ মিনিট পর খাবার খাওয়া উচিত এবং সামান্য বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
অনুপযুক্ত জুতা পরে হাঁটা পায়ের ক্ষতি করে। শক্ত বা ভারী জুতা পরলে পায়ের পাতা এবং গোড়ালিতে ব্যথা হয়, কখনো কখনো ফোসকা পর্যন্ত উঠতে পারে। তাই হাঁটার জন্য আরামদায়ক স্পোর্টস জুতা ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
নিয়ম না মেনে হাঁটলে উপকারের বদলে বিপরীত ফল দেখা দিতে পারে। শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ব্যথা এবং অবসাদ বাড়ে, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে জয়েন্টে ক্ষতি হতে পারে।
আর তাই হাঁটা উপকারী হলেও সেটি অবশ্যই নিয়ম মেনে করা উচিত—সঠিক ভঙ্গি, উপযুক্ত সময়, পরিমিত গতি এবং আরামদায়ক পোশাক-জুতা মেনে চললে হাঁটা হবে স্বাস্থ্যকর এবং উপভোগ্য। নিয়ম মেনে হাঁটলে শরীর যেমন ফিট থাকবে, তেমনি মনও থাকবে প্রফুল্ল এবং শক্তিময়।