দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান সম্প্রতি দুবাইয়ে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। যেখানে তিনি নিজের জীবনের এমন একটি ঘটনা বলেন যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইতে তার নামে নামকরণ করা একটি বিলাসবহুল বাণিজ্যিক টাওয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন শাহরুখ খান। অনুষ্ঠানে তার দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং পরিচালক ফারাহ খান তার সঙ্গে যোগ দেন।
ফারাহর সঙ্গে কথোপকথনের সময় এই অভিনেতা তার জীবনের সেই কঠিন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। শাহরুখ খান বলেন, ‘আমার জীবন বদলে দেওয়ার মুহূর্তটি এসেছিল খুব অল্প বয়সেই, যখন আমি আমার বাবা-মাকে হারিয়েছি। আমার মনে হয়েছিল, তারা আকাশের তারা হয়ে গেছেন। তারা আর কখনও আমাকে দেখতে পাবেন না।’
অভিনেতা আরও জানিয়েছেন, এই শোক তাকে আরও বেশি করে কঠোর পরিশ্রমী করে তোলে, আরও বড় মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে।
তার ভাষায়, ‘আল্লাহ খুব দয়ালু। আমার জীবনে অনেক অপ্রত্যাশিত সাফল্যও এসেছে। লন্ডনে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির জন্য আমার একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আমি জাতীয় পুরস্কারও জিতেছি। এখন দুবাইতে আমার নামে একটি টাওয়ার হচ্ছে, আমার একটি বাড়িও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি যে, পৃথিবীতে এত বড় কিছু আমার জন্য অপেক্ষা করছে, যা আমার বাবা-মা জান্নাত হতে দেখতে পাবেন। আমার জন্য, এটিই হলো জীবন বদলে দেওয়ার মুহূর্ত।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org