দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের শরীরে অতিরিক ওজনের সমস্যা রয়েছে তারা শরীরের ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ সময়ে চিন্তিত থাকেন। কী করলে ওজন কমবে, কীভাবে চললে একটু কম মোটা দেখাবে এইরকম অনেক প্রশ্নই থাকে। মজার ব্যাপার কি জানেন, আপনি আপনার খাবার তালিকায় কিছু খাদ্য যোগ করে অনায়াসেই কমিয়ে নিতে পারেন ওজন।
কাঠবাদামের গুণাগুণ
শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রথমত যে খাবারটির কথা বলবো তা হলো কাঠবাদাম। কাঠবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি খাদ্য। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল আছে তা পুরো দিন শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে। কাঠবাদামের ফাইবার ক্ষুধা কমায়। সকাল শুরু করুন একমুঠো কাঠবাদাম দিয়ে। ডাক্তাররা শরীরের সুস্থতার পাশাপাশি দেহের চর্বি নিয়ন্ত্রণে কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এইক্ষেত্রে লবণাক্ত কাঠবাদাম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন, এটি আপনার শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ডিমের সাদা অংশ
অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে ওজন বাড়ে। কথাটি কিছু ক্ষেত্রে ভুল। ডিমের কুসুম শরীরের অতিরিক্ত ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী। তাই ওজন কমাতে চাইলে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলাই ভালো। সকালে একটি বা দুটি ডিমের সাদা অংশ খেলে তা অনেকটা সময় ধরে পেটে থাকে এবং কম ক্ষুধার উদ্রেক করে। ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। এতে করে শরীরের জন্যও বেশ ভালো। ডায়েট যারা করেন তারা একটি ডিম রাখুন সকালের নাস্তায় তবে অবশ্যই ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে।
আপেলের শক্তি
আপেল সম্পর্কে একটি প্রচলিত কথা হল ‘দিনে মাত্র একটি আপেল খেলে ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না’। একটি আপেলে ৪-৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। তা ক্ষুধার উদ্রেক কমায় এবং শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কাটতে সাহায্য করে। সুতরাং মুটিয়ে যাওয়া দূর করতে একটি আপেল রাখুন সাথে। আপেলের বহুবিধ ভেষজ গুণের মধ্যে শরীরের ওজন কমানো একটি, তাছাড়া একটি আপেল আপনাকে যে পরিমাণ এনার্জি দিবে তা দিয়ে আপনি দিনের একটি অংশ ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।
দারুচিনির ভেষজ গুণ
মাঝে মাঝে আমরা কিছু খাবারে সামান্য চিনি দিয়ে থাকি খাবারটিকে হালকা মিষ্টি ও সুস্বাদু করার জন্য। আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে যদি আপনি শরীরের ওজন কমাতে চান তবে পরবর্তীতে চিনির বদলে দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। খাবারে ভিন্ন স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি এটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ক্যাপসিকামের ভিটামিন
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি খুব সহজে ও খুব দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। লাল, হলুদ কিংবা সবুজ যে কোন ধরণের ক্যাপসিকাম খেতে পারেন রান্নায় ব্যবহার করে। সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে সালাদে ক্যাপসিকাম খাওয়া। ওজন কমতে বেশ সাহায্য করবে।