ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে তথ্য প্রযুক্তির হাওয়া। তাইতো বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া ভাবাই যায় না। আজ তথ্য প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত সংবাদ-২৬ এ বিশ্বের বেশ কিছু তথ্য প্রযুক্তির খবর তুলে ধরা হলো।
প্রি-অ্যাকটিভেটেড সিম বিক্রি বন্ধ
আগে থেকে চালু মোবাইল ফোনের প্রি-অ্যাকটিভেটেড সিম বিক্রি গতকাল শুক্রবার থেকে বন্ধ। শুক্রবারের পর থেকে কেনার সময় গ্রাহকের দেওয়া তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই সিম চালু করা হবে। তবে তথ্য কীভাবে নিশ্চিত করা হবে সে ব্যাপারে মোবাইল ফোন অপারেটর বা বিটিআরসি এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
এদিকে মোবাইল ফোনের সিম কেনার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা যাবে না বলে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে তার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে বিটিআরসি। তারা বলছে, ছবি আছে এমন যেকোন পরিচয়পত্র দিয়ে সিম কেনা যাবে। কিন্তু তা রিটেলাররা বিক্রি করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনের কাস্টমার সেন্টার থেকে নিতে হবে। আর রিটেলারের কাছ থেকে সিম কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই থাকতেই হবে। কিন্তু এই পদ্ধতিকে মোবাইল অপারেটররা কঠিন বলে অভিহিত করেছেন। সমপ্রতি বিটিআরসির সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল রাকিবুল হাসানের স্বাক্ষরিত চিঠি অপারেটরদের কাছে পাঠানো চিঠিনো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, অফিসের ছবি লাগানো পরিচয়পত্র জমা দিয়ে যে কোনো অপারেটরের কাস্টমার সেন্টার থেকে সিম বা রিম কেনা যাবে। আর রিটেলারকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সিম বিক্রি করতে হবে। গ্রাহকের দেওয়া তথ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই সিম চালু করবে সংশ্লিষ্ট অপারেটর। কোনো রিটেলার নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে মামলাও করতে হবে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে। গত কদিন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও বিটিআরসির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে। সমপ্রতি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বিটিআরসির কাছে চিঠি লিখে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে ওই গোয়েন্দা সংস্থাটি যতগুলো নাম্বারের রেজিস্ট্রেশন ফরমের তথ্য নিয়েছে তার সবগুলোই ভুয়া। তিনি বলেন, শুধু লোক দেখানো রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে না, তাদের আন্তরিকতা থাকলেই অর্ধেক ভুয়া রেজিস্ট্রেশন এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। তাই তিনি দেশের স্বার্থে এ ব্যাপারে অপারেটরদের আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ করেন। বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ভুল তথ্যে কোনো সিম রেজিস্ট্রেশন হলে তার দায় অপারেটরদের নিতে হবে। এর জন্য আইন অনুযায়ি তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। তবে রিটেলাররা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া সিম বিক্রি করতে পারবে না। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার সেন্টার থেকে ছবি লাগানো যে কোন পরিচয়পত্র দিয়ে সিম বিক্রি করতে পারবে। আর তা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে।
উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রেশনবিহীন প্রতিটি সিমের জন্য অপারেটরদের ৫০ ডলার করে জরিমানা করার বিধান রয়েছে। ইতিমধ্যে অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহার ব্যবহার করা রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিমের জন্য সবগুলো অপারেটরকে বিপুল অংকের টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে অপারেটররা বলছেন, বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে সব কাগজপত্র তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন।
মোবাইল ফোনে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার কমছে
নীতিনির্ধারক সংস্থা এবং ক্রেতাদের অব্যাহত চাপের মুখে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ফোন নির্মাণে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক ইকোলজি সেন্টারের গবেষকরা। মিশিগানভিত্তিক ইকোলজি সেন্টার এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে জানায়, গত পাঁচ বছরে বাজারে আসা ৩৬টি বিভিন্ন মডেলের ফোনের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, সেলফোনে এখন আগের তুলনায় কম বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে কম বিষাক্ত হিসেবে মটোরোলার সাইট্রাস, অ্যাপলের আইফোন ফোর এস এবং এলইর রিমার্ক গবেষকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের হিসেবে পাঁচ নম্বরে রয়েছে বাজারে আসা নতুন স্মার্টফোন আইফোন ৫, এছাড়া স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এসথ্রি নয় নম্বর এবং আইফোন টুজি এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। ২০০৭ সালে এ স্মার্টফোন দিয়ে অ্যাপল আইফোন সিরিজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। ইকোলজি সেন্টার এক বিবৃতিতে জানায়, যে ক’টি সেলফোন নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে তার প্রতিটিতেই সীসা, পারদ, ব্রোমিন, ক্লোরিন ও ক্যাডমিয়ামের মতো বিপজ্জনক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের বিপজ্জনক পদার্থগুলো যে কোন সময় দূষণের কারণ হতে পারে। গিয়ারহার্টের বক্তব্য অনুযায়ী, ক্রেতারা এখন স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য ব্যবহারে আগ্রহী। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যসম্মত সেলফোন তৈরিতে আগ্রহী হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোক্তাপণ্যে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউরোপ এবং এশিয়ায় ব্যাপক কড়াকড়ি রয়েছে। হেলদিস্টাফ ডট অর্গ নামের একটি ওয়েবসাইটে ইকোলজি সেন্টারের এ তথ্যগুলো প্রতিবেদন আকারে এসেছে। এক সাক্ষাৎকারে ইকোলজি সেন্টারের রিসার্চ ডিরেক্টর জেফ গিয়ারহার্ট বলেন, সেলফোন তৈরিতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এমন অনেক রাসায়নিক পদার্থই সেলফোনে ব্যবহূত হয়। আশার কথ, এগুলো ব্যবহারের পরিমাণ এখন কমছে।
ফেসবুক থেকে যে কোন কিছু চাইতে ওয়ান্ট বাটন
ফেসবুক আগামী সপ্তাহেই আরও একটি সুযোগ নিয়ে আসছে। তবে এটাকে মোটা দাগে টাকা তৈরির উদ্ভাবনী বলাই শ্রেয় হবে। ফেসবুক চালু করতে যাচ্ছে ‘ওয়ান্ট’ বাটন। এই বাটনের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জানাতে পারবেন তিনি কোন পণ্যটি কিনতে চান। ভিক্টোরিয়া সিক্রেটের মডেল এবং পণ্য যা আপনি আগামী সপ্তাহেই চাইতে পারেন! প্রাথমিকভাবে একটা আমেরিকার কিছু দোকানের জন্য চালু করবে ফেসবুক। এটা সফল হলে পৃথিবীর অন্য দোকানগুলোও এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবে। এই ফিচারটি চালু হওয়ার পর, ভিক্টোরিয়া সিক্রেটের কোন পণ্যের ওপর ওয়ান্ট বাটন চেপে সেটি সহজেই একজন ক্রেতা ফেসবুক থেকেই কিনে ফেলতে পারবেন। তবে এই ফিচারটি শুধু পণ্যের ওপরই থাকবে কিনা, সেটা নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে। যদি কোন মানুষের (ট্যাগ করা ছবি) ওপর এই ‘ওয়ান্ট’ চালু করা হয়, তাহলে তার অনেক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ সেক্ষেত্রে একজন
মানুষ আরেকজন মানুষকে চেয়ে ফেলার সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে। আর সেটা যদি হয় টাকার বিনিময়ে, তখন বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করবে। বিজ্ঞাপন ছাড়াও আরও নানা ধরনের ফন্দিফিকির খুঁজছে ফেসবুক। তবে এবারে বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে পণ্য বিক্রেতারা। পটারী বার্ন, নিম্যান মার্কাস, মাইকেল কোরস, ভিক্টোরিয়া সিক্রেটের মতো দোকানগুলো অনলাইনে কেনাবেচা বাড়াতে চাইছে। আপনি যখুনি ফেসবুকে ওইসব পণ্যের ওপর ‘ওয়ান্ট’ বাটন ক্লিক করবেন, তখুনি ওটা আপনার কেনা হয়ে যাবে।
অফলাইনে দেখা যাবে মানচিত্র
বিশ্বের মানচিত্র দেখার জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে গুগল ম্যাপস। এছাড়াও ক্লাউড মুড, ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ, ইয়াহু ইত্যাদি রয়েছে। কিন্তু এসব ম্যাপসের সাইট থেকে মানচিত্র ডাউনলোড বা অফলাইনে দেখার কোন ব্যবস্থা নেই। তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন সফটওয়্যার দ্বারা মানচিত্র ডাউনলোড এবং অফলাইনে দেখা যায়। এর মধ্যে জিম্যাপ ক্যাচার অন্যতম। উইন্ডোজ এবং লিনাক্সের উপযোগী ফ্রীওয়্যার এই সফটওয়্যাটি htp://code.google.com/p/gmapcatcher থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। সফটওয়্যারটি চালু করে নিদিষ্ট যায়গা সার্চ করুন। সাধারণত সফটওয়্যারটি চালু করার সময় ঙভভষরহব চেক করা থাকে অনলাইনে সার্চ করার পূর্বে তা আনচেক করুন। এখন দরকারী স্থানটি ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করে রাখলে উক্ত স্থানগুলো মার্ক হয়ে থাকবে (এ্যড্রেসবারে পাওয়া যাবে) ফলে অফলাইনেও উক্ত ম্যাপটি দেখা যাবে। জিম্যাপ ক্যাচার দ্বারা গুগল ম্যাপস ছাড়াও ক্লাউড মুড, ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ, ইয়াহু, ইনফরমেশন ফ্রিওয়ে, ওপেন সাইকেল ম্যাপ, গুগল ম্যাপ ম্যাকার, ভাচুয়াল আর্থ ইত্যাদি সেবা পাওয়া যাবে।
জনপ্রিয়তা বাড়ছে ই-বুকের
কিন্ডল ফায়ার এবং নুকের মতো জনপ্রিয় ই-বুক রিডারের বদৌলতে জনপ্রিয়তা এবং বিক্রি উভয়ই বাড়ছে ই-বুকের। ই-বুকের এই সাফল্যের কথা জানিয়েছে পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন। খবর অরেঞ্জ নিউজের। ১শ’রও বেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ই-বুকের বিক্রি বেড়েছে ১৮৮ শতাংশ। ২০১১ সালের প্রথমার্ধে ৭.৭ কোটি পাউন্ডের ই-বুক বিক্রি হলেও ২০১২ সালে একই সময় ই-বুক বিক্রি হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ কোটি পাউন্ডের। একই সময় শিশুসাহিত্য এবং অন্যান্য ধারার ই-বুকের বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ১৭১ শতাংশ এবং ১২৮ শতাংশ। তবে কিছুটা হলেও কমেছে কাগজের বইয়ের বিক্রি। ৯৮ দশমিক ৫ কোটি পাউন্ড থেকে নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ২ কোটি পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে তা। এ ব্যাপারে পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও রিচার্ড মঁলে বলেন, ‘ই-বুকের বিক্রি বৃদ্ধি এটাই ইঙ্গিত করে যে, প্রকাশক এবং পাঠক উভয়ের কাছেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ই-বুক। ভালো বই যেভাবেই পড়া হোক না কেন, প্রকাশকরা সব সময়ই ভালো লেখক এবং তাদের সৃষ্টির পেছনে বিনিয়োগ করবে।’
চীনে আইফোন ফাইভ যন্ত্রাংশ উৎপাদন বন্ধ
চীনের ঝেনঝাওয়ে ফক্সকনের শ্রমিক ধর্মঘটে একটি কারখানায় আইফোন ফাইভের যন্ত্রাংশ উতপাদন বন্ধ রয়েছে। সমপ্রতি চীনের ঝেনঝাওয়ের কারখানায় ফক্সকন জাতীয় ছুটির দিনেও কর্মীদের কাজ করতে জোর করায় তারা ধর্মঘট শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক চায়না লেবার ওয়াচ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তাইওয়ানের ফক্সকন এর আগেও কয়েকবার শ্রমিক বিদ্রোহের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে চীনে কম করে হলেও প্রতিষ্ঠানটির ১৩ কর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন। এর পেছনে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার বিপরীতে কম মজুরিকে দায়ী করা হচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা ফক্সকন কারখানার কর্মীদের মানবেতর জীবন থেকে মুক্তির জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত মাসে চীনের উত্তরে তাইইউওয়ানের ফক্সকনের চীন কারখানায় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেশ সেখানে প্রায় ৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কারখানাটিতে ৭৯ হাজার কর্মী গাড়ি ও ভোক্তাপণ্যের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে। অ্যাপল ছাড়াও সনি, ইন্টেল ও নকিয়ার পণ্য ফক্সকন কারখানায় সংযোজিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কমিপউটার যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী হিসেবেও ফক্সকন পরিচিত। চীনে প্রতিষ্ঠানটির ১১ লাখ কর্মী রয়েছে। এদের অর্ধেকই শেনঝেনের কারখানায় কর্মরত। সংস্থাটির পরিচালক লি কিয়াংয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, কাজের চাপ অনেক বেশি, এ কারখানাটির প্রকৃত কর্মীসংখ্যা জানা না গেলেও ৩-৪ হাজার কর্মী বিদ্রোহে অংশ নেয়।