দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে। আর যতোই এগিয়ে আসছে ততই বাড় প্রস্তুতি। অনেকেই বিশেষ জামা-কাপড় বানাতে দিয়েছেন। কিন্তু অনেকটা দু:সংবাদ এসব প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য। আর তা হলো ভ্যালেন্টাইনস ডেতে একসঙ্গে দেখলেই বিয়ে!
ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে ফেব্রুয়ারি শুরুর আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। টিভি চ্যানেলগুলো ভ্যালেন্টাইনস ডেতে নানা অনুষ্ঠানসূচি নিচ্ছেন। কিভাবে এই বিশেষ দিনটিকে সেলিব্রেট করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সারা দুনিয়ার মানুষ। কিন্তু হঠাৎ করেই এমন একটি খবর প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য আঘাত করতে পারে। তবে বাংলাদেশের প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভয়ের কিছু নেই। এমন ভয়ের কারণ হলো ভারতের প্রেমিক-প্রেমিকাদের। সেখানে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভ্যালেন্টাইনস ডেতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের যদি একসঙ্গে গোলাপ ফুল হাতে দেখা যায় বা কোনো পার্কে ওইদিন যদি আলিঙ্গনরত অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে দেওয়া হবে। যদি প্রেমিক-প্রেমিকা এক ধর্মের বা গোত্রের না হন, সেক্ষেত্রে তাদের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
আর মাত্র ৬ দিন পরেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। অথচ তার আগেই নড়েচড়ে বসলো দেশটির পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হিন্দু মহাসভা। তারা এই ব্যতিক্রমি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এইদিন প্রণয়ী যুগলরা একসঙ্গে এ দিবস উদযাপন করলে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। তারা মনে করেন, এই ধরনের পশ্চিমা প্রথা জনসমক্ষে উদযাপন করা ভারতের মতো দেশে কখনও শোভা পায় না। তাই এই নিদের্শ দিয়েছেন হিন্দু মহাসভা।
সংবাদমাধ্যমকে মহাসভার সভাপতি চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক বলেছেন, ভারতের মতো দেশে বছরের ৩৬৫ দিনই ভালবাসার দিন। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করার প্রয়োজনীয়তা কী?
তিনি আরও বলেছেন যে, ‘আমরা ভালবাসার বিপক্ষে নই, কিন্তু যারা একে অপরকে ভালবাসে বলে দাবি করে তাদের অবিলম্বে বিয়ে করা উচিত। যদি তারা আমাদের বলেন যে, ভাবার জন্য সময় প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই তাদের একসঙ্গে ঘোরাফেরা করা উচিত নয়। এটা চোখে ধরা পড়লে আমরা ওদের অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানাবো।’
১০ দিন আগেই বিয়ে নিয়ে দ্বন্দে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাদের খুঁজে বের করার জন্য পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন দল নিযুক্ত করেছে এই হিন্দু মহাসভা।
এদিকে হিন্দু মহাসভার এমন ঘোষণায় ওইসব অঞ্চলের যুবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘ভালবাসা হলো দুটি মনের ব্যাপার। কার মনে কি আছে, আর কে কাকে কিভাবে ভালবাসবে সেটি তার স্বাধীন চিন্তা-চেতনার বিষয়; এটি কেও নির্ধারণ করে দিতে পারে না। এটি ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করার সামিল।’