দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন নাৎসি বাহিনীর হাতে ইহুদী নিধনের দায় স্বীকার করলো জার্মানী। দেশটির চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল বুধবার ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে এই কথা বলেন।
জার্মানি চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করেই জানি, নাৎসিরা এই ঘটনার (গণহত্যা) জন্য দায়ী।’
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘গণহত্যার ক্ষেত্রে কেও হিটলারের দায় অস্বীকার করতে পারবে না।’
এদিকে তার আগের গত মঙ্গলবার জেরুজালেমে ওয়ার্ল্ড জুয়নিস্ট কংগ্রেসে ভাষণদান দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘হিটলার ইহুদীদের ইউরোপ হতে বিতাড়িত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ফিলিস্তিনী গ্র্যান্ড মুফতি হাজ আমিন আল-হুসাইনী তাদেরকে পুড়িয়ে মারার পরামর্শ দেন।’
নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্যের পর পরই এর বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েলী ইতিহাসবিদ এবং রাজনীতিকরা। তারা দাবি করেছেন, হিটলারের নিষ্ঠুরতা আড়াল করতেই নেতানিয়াহু এমন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন।
ইসরায়েলের গণহত্যা বিষয়ক মেমোরিয়াল প্রধান ইতিহাসবিদ প্রফেসর দিনা পোরাত কঠোর ভাষায় বলেছেন, ‘আপনি কখনও বলতে পারেন না, ওই মুফতি হিটলারকে ইহুদীদের হত্যা বা পোড়ানোর বুদ্ধি দিয়েছিলেন।’
দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা আইজাক হেরজগও কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘গণহত্যা, নাৎসিজম এবং এই নিষ্ঠুরতার ক্ষেত্রে হিটলারের দায় লঘুভাবে তুলে ধরতেই প্রধানমন্ত্রী এমন মিথ্যাচার চালাচ্ছেন।’
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯২০-৩০ সালে ইহুদীবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন হুসাইনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন তার সঙ্গে হিটলারের যোগাযোগ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধচলাকালে জার্মান প্রধান এডলফ হিটলারের নেতৃত্বে কয়েক লাখ ইহুদীকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয়, ১৯৪১ হতে ১৯৪৫ সময়কালে প্রায় ৬০ লাখ ইহুদীকে হত্যা করেছিল হিটলারের নাৎসি বাহিনী।