দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই দুনিয়াতে কতো মানুষ রয়েছেন যাদের টাকার কোনো অভাব নেই। অথচ এই টাকার অভাবে এমন নিষ্পাপ একটি শিশু নাকি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে! বড়ই বিচিত্র এই পৃথিবী!!
একটি দৈনিকে এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। টাকার অভাবে মৃত্যু হবে এমন কথা শোনার পর আর বসে থাকা যায় না। শিশুটির ফুটফুটে চেহারা, দেখে বোঝারই উপায় নেই যে এই শিশু আনিচুজ্জামান এক জটিল রোগে আক্রান্ত। তবে প্রকৃত বাস্তবতা হলো, ৬ মাস বয়সেই শিশুটির হৃদ্যন্ত্রের ছিদ্র ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে বড় ক্ষতি হতে পারে শিশুটির। তবে একে একে ৬ বছর পেরোলেও অস্ত্রোপচারের জন্য আড়াই লাখ টাকার জোগাড় করতে পারেননি শিশু আইনের দরিদ্র বাবা মো: কামারুজ্জামান।
ধীরে ধীরে পরিবারের সবার সামনে আনিচুজ্জামান শেষ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা দেখে গোপনে চোখের পানি ফেলছেন কামারুজ্জামানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। অথচ আমাদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি একাই এমন আড়াই লাখ টাকা দান করতে পারেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের কাষ্টসাগরা গ্রামে আনিচুজ্জামানের বাড়ি। বাবা কামারুজ্জামান একটি পরিবহন কাউন্টারে খুব সামান্য বেতনে চাকরি করেন। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার পাঁচজনের সংসার। ৬ শতক জমির ওপর টিনশেড বাড়ি ও মাঠে ১৭ শতক জমি ছিল কামারুজ্জামানের। ছেলের চিকিৎসায় মাঠের জমি অনেক আগেই বিক্রি করতে হয়েছে; বাকি আছে শুধু বাড়িটি।
সংবাদ মাধ্যমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ এ কে এম কামাল বলেছেন, শিশুটির খুব দ্রুতই অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। যতো সময় যাবে, ততোই ঝুঁকি বাড়বে। বর্তমানে যে অবস্থা রয়েছে, অস্ত্রোপচার করা হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব। সেজন্য দুই হতে আড়াই লাখ টাকার প্রয়োজন।
বর্তমানে এই ৭ বছর বয়সী আনিচুজ্জামান শুধুই ওষুধ খেয়ে বেঁচে রয়েছে। অসুস্থ হওয়ায় বাড়িতেই সময় কাটে তার; স্কুলেও যেতে পারে না।
এ বিষয়ে কালীচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেছেন, শিশুটির বাবা তাঁর কাছেও কয়েক বার এসেছেন। তিনি যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছেন। এমন ফুটফুটে একটা শিশু চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে, এমনটি কখনও হতে পারে না উল্লেখ করে মিজানুর সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহায়তায় এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কিছু অর্থ সাহায্য করেছেন অনেকেই। আরও সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।
তাকে সহযোগিতার জন্য:
ব্যাংক হিসাব নম্বর: কামরুজ্জামান বাবলু, হিসাব নম্বর ০৯৯৩৪০০০৫৬৯, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, ঝিনাইদহ শাখা। নিউজটি শেয়ার করে আপনিও সহযোগিতা করুন।