দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেলফি নিয়ে অনেক কথায় শোনা গেছে। তবে এবার আরও একধাপ এগিয়ে নতুন এক খবর বেরিয়েছে। আর তা হলো সেলফির কারণে নাকি উকুন ছড়াচ্ছে দ্রুত! আসলেও কী তাই?
সেলফি নিয়ে অনেক কথায় শোনা গেছে। তবে এবার আরও একধাপ এগিয়ে নতুন এক খবর বেরিয়েছে। আর তা হলো সেলফির কারণে নাকি উকুন ছড়াচ্ছে দ্রুত! আসলেও কী তাই?
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়েছে যে, সেলফির কারণে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে উকুন! এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় সবচেয়ে বেশি উকুন থাকে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
‘লুসফ্রি নরজ’ নামে পরজীবীর বিস্তার রোধ করতে কাজ করে যাওয়া একটি সংস্থার মাথায় বা চুলে উকুনের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধির এই কারণ তুলে ধরেছে।
ওই সংস্থাটির গবেষক অ্যান লুইস লাইকফস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এক জনের মাথা থেকে অন্য জনের মাথায় উকুন ছড়িয়ে পরে। তবে সাধারণত মানুষ যখন একে অপরকে আলিঙ্গন করে, সেলফি তুলে, একই সঙ্গে কম্পিউটার ব্যবহার করে, কিংবা এক সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঠিক তখন উকুন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে মানুষ সেলফি (মোবাইল ফোনের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তোলাকে সেলফি বলা হয়) তোলার খুব বেশি প্রতি আসক্ত। এতে করে দু’জন কিংবা কয়েকজন মিলে এক সঙ্গে ছবি তোলে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। যে কারণে এক জনের মাথায় থাকা উকুন আরেক জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ছেলে-মেয়েরা যখন এক সঙ্গে গা ঘেষে বসে গেম খেলে তখন উকুন এক জনের মাথা হতে অপর জনের মাথায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ওই সংস্থাটির গবেষক অ্যান লুইস লাইকফস আরও জানিয়েছেন, সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় সবচেয়ে বেশি উকুন থাকে। তিনি বলেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় থাকে লম্বা চুল। সেই জন্য উকুন অতি সহজেই লুকিয়ে থাকতে পারে। আর তাই সেইগুলো আশে পাশে যারা রয়েছে তাদের মাথাতে ছড়িয়েও পড়তে পারে। যে কারণে এই উকুন থেকে রক্ষা পেতে হলে সেলফি তোলার সময় সাবধান হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা।