দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বলিউডে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। যদিও এই চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগে তেমন প্রচার-প্রচারণাও দেখা যায়নি। তবে মুক্তির পর সিনেমাটি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
পুরো ভারতজুড়ে ইতিমধ্যেই সিনেমাটি ঝড় তুলেছে। বলিউড বক্স অফিস কাঁপিয়ে ইতিমধ্যেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। মাত্র ১৪ কোটি রুপির বাজেটে নির্মিত একটি সিনেমার এমন অবিশ্বাস্য সাফল্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও চলছে ব্যাপক আলোচনা।
তবে সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে এখন বড় ধরনের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ইস্যুতেও পরিণত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে। অনেক তারকাই বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন।
এবার অবশ্য এক ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটে গেছে। যা দেখে সবাই অবকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এই সিনেমার একটি নতুন পোস্টার। এই পোস্টারটি এই সিনেমার পরিচালকই শেয়ার করেছেন। কারণ হলো নিজের রক্ত দিয়ে একজন ভক্ত এঁকেছেন এটি!
যদিও বিষয়টি নিয়ে কিছুটা বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে, তবে তা সিনেমা দেখায় কোন প্রভাবই পড়েনি বরং এটি দেখার প্রতি আরও চাহিদা বাড়ছে দর্শকদের।
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের বিদিশা শহরের বাসিন্দা মঞ্জু সোনি নামে এক ব্যক্তি নিজের শরীরের ১০ মিলিমিটার রক্ত দিয়ে এঁকেছেন এই পোস্টারটি। ঠিক কিভাবে নিজের রক্ত সংগ্রহ করে এই পোস্টার সৃষ্টি করেছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
নির্মাতা লেখেন, আমার একেবারেই বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমি এটাও জানি না যে কী বলবো, ঠিক কীভাবে মঞ্জু সোনিকে আমি ধন্যবাদ জানাবো। শত শত প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা। যদি কেও ওকে চেনেন, তাহলে ওর ফোন নম্বরটি দিন। যেনো আমি এই ভক্তের সঙ্গে দেখা করতে পারি।
তবে অনেক সিনেমাপ্রেমীই প্রশ্ন তুলেছেন, রক্ত দিয়ে এমন কাণ্ড করা কতোটা গ্রহণযোগ্য? এর উত্তরে নির্মাতা জানিয়েছেন, সবার আবেগকেই আমি সম্মান ও শ্রদ্ধা করি, তবে এমন ঘটনা ঘটানোর প্র্রয়োজন নেই। আমি চাই না আর কেও রক্ত দিয়ে এমন কাজ কখনও করুক। সবার প্রতিই আমার ভালোবাসা।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের ওপর নির্যাতনের গল্পে নির্মিত হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ চলচ্চিত্রটি। এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার এবং পল্লবী যোশি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।