দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতি বছরই বইমেলা উপলক্ষে হাজার হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়ে থাকে।

বই মেলায় পুরনো বইয়ের নতুন মুদ্রণও থাকে। সেইসঙ্গে বরাবরের মতো এ বছরও শোবিজ তারকাদের লেখা কিছু বই অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।
কোন কোন তারকার বই এবারের বই মেলায় দেখা যাচ্ছে
আবুল হায়াত
অভিনেতা হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিত আবুল হায়াতের প্রতিভা বহুমুখী। নির্মাণ এবং লেখালেখিতেও সমান বিচরণ তাঁর। প্রায় প্রতি বছরই তার লেখা বই প্রকাশিত হয়ে থাকে। তবে এবার তিনি লিখেছেন আত্মজীবনী। তাঁর বইয়ের নাম ‘রবি পথ’। এটি প্রকাশ করেছে ‘সুবর্ণ’।
ফাহমিদা নবী
নন্দিত সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ছোটবেলা থেকেই ডায়েরি লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা প্রবাহ তিনি লিখে রেখেছেন তার ডায়েরির পাতায়। সেই লেখাগুলোই বই আকারে প্রকাশ করেছেন তিনি। একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম বই ‘ফাহমিদা নবীর ডায়েরি’। শব্দশিল্প প্রকাশনী থেকে বের হচ্ছে এই বইটি। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।
আশনা হাবিব ভাবনা
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। অভিনয় ও নৃত্য তার চেনা আঙিনা হলেও লিখতেও তিনি ভালোবাসেন। গত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত লিখছেন তিনি। এবার তারই লেখা উপন্যাস ‘আমরা কখনো বন্ধু ছিলাম না’ পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায়। প্রকাশ করছে মিজান পাবলিশার্স থেকে।
ফারজানা ছবি
ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। লেখক হিসেবে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয় গত বছর। সেই বছর প্রকাশ হয় তার লেখা উপন্যাস ‘জলছবি’। এবারের বই মেলায় নিয়ে আসছেন দ্বিতীয় বই ‘বৃত্তবাস’। প্রকাশ হবে মিজান পাবলিশার্স হতে। বইটি তিনি উৎসর্গ করেছেন তার সদ্য প্রয়াত মা আয়েশা রহমান নীলুকে।
সাজিয়া সুলতানা পুতুল
সাজিয়া সুলতানা পুতুল শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী, কম্পোজার, উপস্থাপক ও লেখক। নিজের পরিচয়ের সব ক’টি কাজ নিয়েই রয়েছে তার বেশ ব্যস্ততা। বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা এবারও বইমেলায় থাকছে তার নতুন বই। ইতিপূর্বে এইড গায়িকার লেখা মোট ৯টি বই প্রকাশিত হয়। এবার বই মেলায় আসছে উপন্যাস। বইটির নাম ‘শিল্পীসত্তার ব্যবচ্ছেদ’। প্রকাশ করছে অনন্যা প্রকাশনী।
সুষমা সরকার
প্রথমবারের মতো লেখিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সুষমা সরকার। এবারের বই মেলায় তারই লেখা প্রথম গল্পের বই ‘দ্বিতীয়’ প্রকাশ পাচ্ছে। তবে ব্যক্তি সুষমা সরকারের এটিই প্রথম লেখা বই নয়। কারণ অভিনেত্রী হওয়ার আগেও অর্থাৎ ছাত্রজীবনে তিনি প্রকাশ করেন তার প্রথম বই ‘প্রণয়’। সেদিক থেকে বলতে গেলে এটি হলো তার ‘দ্বিতীয়’ বই। এটি প্রকাশ করবে শব্দশিল্প প্রকাশনী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org