দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট পর্দার জনপ্রিয় এক মডেল-অভিনেত্রী সাবিলা নূর। এই দশ বছরে নিজেকে বহুমাত্রিক চরিত্রে রূপদানের চেষ্টা অব্যাহত ছিল সাবিলার মধ্যে।

যার দরুন টিভি নাটকের ব্যতিক্রমী চরিত্রে তার উপস্থিতি রয়েছে সব সময়। ওটিটি দুনিয়ারও অপরিহার্য অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন এই অভিনেত্রী। চরিত্রেও এনেছেন নানা বৈচিত্র্য। পাশের বাসার সুন্দরী মেয়ে, বেকার নায়কের প্রেমিকা বা কর্মজীবী নারী এইসব চরিত্র থেকে বের হয়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আরও পরিণত করেছেন এই অভিনেত্রী। ছক ভাঙতে ভাঙতে নির্মাতাদের কাছে সাবিলা হয়ে ওঠেন এক ভার্সেটাইল অভিনেত্রী। নির্মাতাদের ভাষ্য, সাবিলাকে যে চরিত্রই দেওয়া হোক না কেনো, তাতেই অনায়াসে মানিয়ে নিতে পারেন। আর তাই সাবিলা এখন অনবদ্য এক অভিনেত্রী।
তবে ছোটপর্দার গণ্ডি পেরিয়ে সাবিলা নূর বর্তমানে বড় পর্দার বাসিন্দা। নাটক, বিজ্ঞাপন, ওয়েব সিরিজ, ওয়েব ফিল্মের পর তার স্বপ্নই ছিল বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম চলচ্চিত্রে কাজ করা এবং সেখানেই নিয়মিত হওয়ার। সাবিলার সেই অপূর্ণতাটুকুও তার পূর্ণ হয়ে গেছে। গত ঈদেই প্রথমবারের মতো ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করেন। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি। তাণ্ডবের পর মাঝখানে কিছুদিন ঘুরে বেড়িয়েছেন সাবিলা নূর। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাবও পান তিনি। এইসব বিষয়ে যদিও বিস্তারিত কিছু বলেননি, তবে এবার স্বপ্নের পথটি আরও সুগম করলেন নতুন একটি সিনেমাতে।
সাবিলা এবার সাহিত্যনির্ভর সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘কিছুক্ষণ’ অবলম্বনে নির্মিতব্য সিনেমায় শরিফুল রাজের বিপরিতে অর্থাৎ নায়িকা হচ্ছেন সাবিলা। এই সিনেমটি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ‘উৎসব’ নির্মাতা তানিম নূর। এই সিনেমাটির নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org