দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নানা কারনেই হয়ত দিনদিন আপনার ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই ব্যস্ততার কারণেই মানুষ পরিবার থেকে ধীরে ধীরে দুরে সরে যেতে থাকে। নিজের ব্যস্ততার কারণে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও নানা সমস্যা তৈরি হয়। তবে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করলে আমরা নানা ব্যস্ততার মাঝেও পারিবারিক বন্ধন ঠিক রাখতে পারি। আজ আমরা সেই উপায়গুলো নিয়েই আলোচনা করব।
১। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় সবার সাথে একত্রিত হওয়াঃ
শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের উচিৎ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। পরিবারের সবার সাথে একসাথে গল্প করার মজায় আলাদা। এই জন্য সবার সাথে একত্রিত হতে ডিনারের সময় বা দিনের যেকোন সময় বেছে নিতে পারেন। এর ফলে সবার সাথে আপনার বন্ধন অটুট থাকবে। সবাই একসাথে কিছু সময় থাকলে একে অপরের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
২। সবার ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ দেওয়াঃ
আমরা অনেকেই পরিবারের অন্যদের বিশেষ করে যারা আমাদের উপর নির্ভরশীল তাদের মত প্রকাশের সুযোগ দিই না। এটা অবশ্যই আমাদের একটি ভুল পদক্ষেপ। সুযোগ না পাওয়ায় তাদের সৃজনশীলতাকে তারা কাজে লাগাতে পারে না। সেই সাথে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এই অবস্থা বেশি দিন বিরাজ করলে ধীরে ধীরে আমাদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ কমে যায়। তাই আমাদের উচিৎ পরিবারের সবাইকে তাদের মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া। তাদের ইচ্ছা কি, কিভাবে তারা পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে তা জানার চেষ্টা করা।
৩। সামর্থের বাইরে কোন আবদার করলে রাগ না করে বুঝিয়ে বলাঃ
পরিবারের কোন সদস্য এমন কোন আবদার করতে পারে যা পুরণ করার সামর্থ আপনার এই মূহুর্তে নেই। তাই রাগ করে তাকে এমন কোন কথা বলবেন না, যা পরিবারের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি করে। তার আবদারটি এই মূহুর্তে যে আপনি পূরণ করতে পারবেন না বা কেন সেই আবদার পূরণ করা সম্ভব নয় তা ভাল করে বুঝিয়ে বলুন। তাহলে পারিবারিক বন্ধন ঠিক থাকবে।
৪। পরিবারের অন্যদের কাজের প্রশংসা করুনঃ
পরিবারের ছোট বড় সবাই ছোট খাটো অনেক কাজ করে থাকেন। তাই তাদের কাজের প্রশংসা করুন। আমাদের সামান্য একটু প্রশংসা তাদের মনে দারুন ভাবে আনন্দ সৃষ্টি করে। এর ফলে তারা আরো কাজ করার প্রতি আগ্রহী হবে এবং পরিবারের সবার সাথে সম্পর্ক অটুট থাকবে।
৫। আপনার ব্যস্ততার বিষয়গুলো পরিবারের অন্যদের জানাতে পারেনঃ
আপনি কেন এত ব্যস্ত, কেন পরিবারের অন্যদের সময় দিতে পারেন না, এই বিষয়গুলো পরিবারের সাথে শেয়ার করলে তারা আপনার ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনি যে তাদের প্রতি অবহেলা করছেন না সেই বিষয়টিও তারা নিশ্চিত হবে।
৬। আপনার সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করুনঃ
আপনি বর্তমানে কি সমস্যা অনুভব করছেন, সেই সমস্যা কিভাবে সৃষ্টি হল এবং কিভাবে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার সমস্যার বিষয়গুলো তাদের জানালে আপনার প্রতি তাদের ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। কারণ আপনি তাদের অধিক আপন ভাবেন বলেই আপনার সমস্যার বিষয়গুলো তাদের সাথে শেয়ার করছেন। তবে যে বিষয়গুলো শেয়ার করা উচিৎ নয় তা শেয়ার না করায় ভাল।
আশা করা যায় এই পদ্ধতিগুলো মেনে আপনি পারিবারিক বন্ধন অটূট রাখতে পারেন।